শরীরে পুষ্টিমান বাড়ানোর জন্য খাবারের কোন বিকল্প নেই। ঠিকঠাক পুষ্টি নেবার জন্য প্রতিদিন কত ধরনের খাবার-ই না আমরা গ্রহন করে থাকি! কিছু খাবার আমরা রান্না না করে কাঁচা-ই খেতে পারি যেমন নানা রকম ফল। আবার কিছু খাবার রান্না করা ছাড়া খাওয়া সম্ভব নয় যদিও এই সংখ্যাটাই বেশি যেমন শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি। খনিজলবণ ও ভিটামিনের সবচেয়ে সহজলভ্য ও উৎকৃষ্ট উৎস হচ্ছে শাকসবজি। কিন্তু খাবার টেবিলে সাজানো আপনার প্রিয় নানাবিধ খাবারে কি ঠিকঠাক পুষ্টিমান বজায় থাকছে? ভোজনরসিক হিসেবে আমাদের বেশিরভাগ খাবারই অতিরিক্ত মশলা ও তেল দিয়ে তৈরী। আসলে রান্না করতে গিয়েই খাবারের সবচেয়ে বেশি পুষ্টিমান নষ্ট হয়। এই কারনে গৃহীত খাদ্য হতে যতটুকু পুষ্টি উপাদান আমাদের পাওয়া উচিত আমরা তা পাই না। একটু সচেতন হয়ে রান্না করলেই হয়তো আশানুরূপ পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।
তাই পুষ্টিমান ধরে রেখে কিভাবে রান্না করা যায় চলুন দেখে নেয়া যাক……
• অনেকে শাকসবজি কেটে তারপর ধুতে যান যা কখনো ঠিক নয়। পুষ্টিমান ঠিক রাখতে আগে ভাল ভাবে ধুয়ে নিন তারপর কেটে রান্না শুরু করুন।
• সবজি একেবারে ছোট ছোট করে না কেটে কিছুটা বড় টুকরো করে কাটুন। টুকরো গুলো একই সাইজে রাখার চেষ্টা করুন। তাতে সেদ্ধ হতে একই সময় লাগবে আর পুষ্টিমানও ভাল থাকবে।
• সবজি কাটার সময় খেয়াল রাখুন যতটা সম্ভব খোসা সহ কাটতে। কারন খোসার নিচেই বেশিরভাগ পুষ্টিমান থাকে।
• রান্নার সময় ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। এতে যেমন তাড়াতাড়ি রান্না হবে তেমন পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। কেননা অক্সিজেন খাদ্যের সংস্পর্শে আসার ফলে ভিটামিন বেশি নষ্ট হয়।
• কোন খাদ্যই বেশি সময় নিয়ে রান্না করা উচিত নয়। বেশি সেদ্ধ হলে পুষ্টিমানও বেশি নষ্ট হয়। তাই শাকসবজি, মাছ, মাংস বা ডিম রান্না করার সময় কম পানিতে দ্রুত আঁচে রান্না শেষ করে ফেলুন। পুষ্টি নষ্ট কম হবে। এক্ষেত্রে শাকসবজি রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
• মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা প্রেশার কুকারে রান্না করলে তুলনামূলকভাবে বেশি পুষ্টি উপাদান বজায় থাকে। কেননা এতে ঢাকনা ব্যবহার করা হয় ও দ্রুত আঁচে রান্না হয়।
• পরিমাণ মত পানি দিয়ে ভাত রান্না করুন। যেন ভাতের পুষ্টিকর মাড় ফেলে দিতে না হয়।