আমরা সাধারণত সাদা চালের ভাত খাই। এ চালগুলোর উপরের অংশ মেশিনের সাহায্যে ফেলে দেয়া হয়। এটাকে পলিশিং করা বলে।
পলিশিংয়ে চাল কিছুটা পুষ্টিগুণ হারায়। অন্যদিকে বাইরের আবরণ বাদ দেয়ায় সেটা হজম করা সহজ হয়ে যায়।
যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আদর্শ খাবার ভাত। ভাতের ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখায় অনেক সমস্যাই ঠিক হয়ে যায়।
ভাতের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে পাকস্থলির অনেক বেশি সময় লাগে। তাতে শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ হয়। তাই যারা ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত থেকে দূরে থাকছেন, তাদের নতুন করে ভাবা দরকার।
ভাতে যে বাড়তি পানি থাকে, তা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভাত যেহেতু কার্বোহাইড্রেটের উৎস, তাই একে শরীরের শক্তিঘরও বলা হয়। ভাত খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি আসে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ভাত রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে; হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ভাতে দ্রবণীয় ফাইবারের একটি বিশাল ডোজ পাওয়া যায় বাটায়ারেট নামক প্রতিরোধী স্টার্চে।
বাটায়ারেট অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে। এ জন্য ডায়রিয়া হলে বেশিরভাগ সময় সিদ্ধ চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।