Author Topic: আজীবনের জন্য ভাত খাওয়া ছেড়ে দিতে চাই!  (Read 1612 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Rasel Ali

  • Administrator
  • Sr. Member
  • *****
  • Posts: 267
  • Gender: Male
  • Trust Your Strength It Will take U Toward Success
    • View Profile
    • Daffodil Hospital
ডায়েট, ব্যায়াম ও ওজন কমানো– বাড়ানো নিয়ে পাঠকদের নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ

শামসুন্নাহার নাহিদ.

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৬ বছর। প্রয়োজনের তুলনায় ১২ কেজি ওজন বেশি আছি। ভাত খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। যদি আজীবনের জন্য ভাত খাওয়া ছেড়ে দিতে চাই, তাতে কোনো সমস্যা আছে কি? ভাতের বিকল্প খাবার খেতে আমার সমস্যা নেই। আর এভাবে আমার ওজন কমানো গেলে ভালো হয়।

নাতাশা, ঢাকা

উত্তর: নাতাশা, আপনি ১২ কেজি ওজন কমাতে চান, কিন্তু ভাত বাদ দিয়ে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, পৃথিবীতে অনেক দেশে ধান উৎপাদন বা আমদানি হয় না, অনেক দেশের মানুষ চাল চেনেনই না। তাঁরাও সুস্থভাবে জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি হলো, মানুষের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার খেতে হয়, যেখানে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের (কার্ব) গুরুত্ব সবার আগে। কারণ, কার্ব থেকে মানুষের শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনগত শক্তি আসে। তাই খাবারে প্রতিদিনই চাহিদামতো কার্ব রাখতে হবে, তা সে যেকোনো ধরনের হোক না কেন। অর্থাৎ চাল, চালে তৈরি চিড়া, মুড়ি, খই, চালের গুঁড়ার খাবার, আটা, যবের রুটি, চাপড়ি, নুডলস, ব্রেড, বান, তন্দুর রুটি, পাস্তা, ম্যাকারনি, ওটস, পরিজ, সাগু, সুজি, সেমাই, মোজারেলাসহ আরও অনেক ধরনের খাবার থেকে আপনার পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন। শুধু মনে রাখতে হবে, শর্করা বাদ দেওয়া যাবে না, বাদ দিলে শারীরিক ক্ষতি হবে। শর্করা বাদ দিলে যেসব ক্ষতি হতে পারে—

১. খাবারে শর্করার অভাবে প্রোটিন এনার্জি দেবে, ফলে আপনার মাংসপেশি কমে যেতে থাকবে।

২. অন্যদিকে এনার্জি পূরণ করতে চর্বি বেশি গ্রহণ করতে হবে। ফলে রক্ত, হার্ট ও লিভারে ফ্যাট জমে রক্তে চর্বি বেড়ে হার্টের অসুখ, ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

৩. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শর্করা কম খেতে থাকলে শরীরের অন্যান্য কিছু জায়গা বিশেষ করে ব্রেনের গ্লুকোজ কমে যাবে। ফলে আপনার স্মৃতি কমে যাবে, ধীরে ধীরে আলঝেইমার রোগে ভুগবেন, পাশাপাশি যখনই আবার ভাত খাওয়া শুরু করবেন, তখন খুব দ্রুত ওজন বাড়তে শুরু করবে।
তার চেয়ে পরিমাণমতো, প্রতিটা পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে, ক্যালরি কম করে খাবার খাবেন। পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম করবেন, বাড়তি ওজন ধীরে ধীরে কমে যাবে। তবে ভালো হয় আপনি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে হেলদি ডায়েট চার্ট তৈরি করে তা মেনে চললে।
BR
Rasel Ali
Assistant Director (DIU)