কোলেস্টেরল কমাবে যবের ছাতু! খারাপ কোলেস্টেরলের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়!!
যবকে গুঁড়া করে ছাতু বানালেই যবের ছাতু হয়। রাসূল (সঃ) যবের ছাতু পছন্দ করতেন।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা: বলেন, ‘এমন দিন রসুল(সা:)-র জীবনে কমই এসেছে যেদিন তিনি দুই বেলা খাবার খেতে পেরেছেন। তাঁর ইন্তেকালের সময় তাঁর গৃহে সামান্য কিছু যবের ছাতু ছাড়া আর কোনো সামগ্রীই ছিল না, আর সে যবের ছাতুও তিনি ক্রয় করেছিলেন জনৈক ইহুদির কাছ থেকে তাঁর যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রেখে প্রাপ্ত অর্থ থেকে’। (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)।
যব বিভিন্ন রকম সুষম খাদ্য প্রস্তুতে উপাদান হিসেবে দেয়া হয়। স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত এলাকায় খাবার স্যুপ ও স্ট্যু তৈরিতে এবং যবের রুটিতে যবের দানা বা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।
প্রতিদিনের নাস্তায় দুধের সঙ্গে যবের ছাতু মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা কম লাগার পাশাপাশি পেট ভরা রাখে। তাছাড়া মোটা হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
যবের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যব প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং অজীর্ণ রোগ যাকে ইংরেজীতে ডিসপেপসা (বদহজম) বলে, এক ধরণের পেটের পীড়া, তা দূর করতে এবং নিরসনে সহায়তা করে।
যবের ছাতুর বেটা-গ্লুক্যান আঁশ খাবারে পরিতৃপ্ত থাকতে সাহায্য করে এবং উপকারী ‘গাট’ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
যবের ছাতু অন্ত্রের কিছু রোগের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রদাহজনিত পেটের রোগ।
যবের ছাতু সার্বিকভাবে কোলেস্টেরল কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।
“সার্ভিং হিসেবে ৬০ গ্রাম যবের ছাতু খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে কোলেস্টেরল কমাতে পারে।” খারাপ কোলেস্টেরল আনুমানিক ৪ থেকে ৬ শতাংশ কমার জন্য হৃদপিণ্ডের ধমনীর রোগের হার ৬ থেকে ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
যব দিয়ে বানানো সব ধরনের খাবারই উপকারী। আর সেটা যদি ছাতু হয় তবে পুষ্টি বৃদ্ধি পায় হাজারো গুণে।
Source: Khaas Food