Author Topic: কোমর ব্যাথা কেন হয় , করনীয়, চিকিৎসা ও ব্যায়াম  (Read 1685 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Dr. Sushanta Kumar Ghose

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 362
  • Gender: Male
    • View Profile
মানুষের শরীরের মেরুদন্ড (ব্যাক বোন) অনেক হাড় (কশেরুকা) দিয়ে তৈরি এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত থাকে। নীচের অংশকে (ল্যাম্বো স্যাকরাল রিজিওন) সাধারণত কোমর বা মাজা বলে। শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই জীবনের কোন না-কোন সময় কোমর ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। শতকরা ৫০ ভাগ লোক একের অধিকবার কোমর ব্যথায় ভোগে।  আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চার জন জীবনের কোন না কোন সময়ে এই সমস্যায় ভুগেন।



হাসপাতাল বা ডাক্তার চেম্বারে লোকদের যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মাজা ব্যথা। উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে ৯০% রোগী দুই মাসের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠবেন। স্বল্প মেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে। যে ব্যথা এক মাসের অধিক থাকে তাকে দীর্ঘ মেয়াদি বা ক্রোনিক ব্যথা বলে।

কোমর ব্যথা কেন হয়
কোমর ব্যথার  নানাবিদ কারন রয়েছে। এদের  মাঝে ৯০ ভাগই হচ্ছে মেকানিক্যাল সমস্যা। মেকানিক্যাল সমস্যা বলতে মেরুদন্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো, আংশিক ছিড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন ও মেরুদন্ডের নির্দিষ্ট বক্রতার পরিবর্তনকে বোঝায়।

পেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি,  চলাফেরা, জীবিকার ধরন, খুব বেশী ভার বা ওজন বহস,  মহিলাদের উঁচু স্যাণ্ডেল পড়ে হাঁটা, মেরুদন্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদন্ডে আঘাত পাওয়া, ছাত্রছাত্রীর চেয়ারে বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে বা ঠিকমত ড্রাইভিং সিটে না বসা  বা অফিসের চেয়ারের সঠিকভাবে না বসা সর্বোপরি পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ বসার ভঙ্গিমা ঠিকমত না হলে কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে থাকে।

অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদন্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি,  অস্টিওআথ্রাইটিস বা গেঁটে বাত, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা,  অসিট ও পোরেপাসিস, এনকাইলজিং সপ্নডাইলোসিস, মেরুদন্ডের স্নায়বিক সমস্যা, টিউমার ক্যানসার, হাড়ের ইনফেকশন,  বোন টিবি, স্পনডোলাইসিস ( কোমরের পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পনডোলাইসিস বলে)
কোমরের মাংসপেশির সমস্যা, হাড় ও স্নায়ুর টিউমার,  ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ), পেটের বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, কোন আঘাত পাওয়া যেমন গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, মেরুদন্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুঁড়ি অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

কোমর ব্যথার লক্ষণ বা কোমরে ব্যথার সময়  যা হয়
১. কোমরে ব্যাথা যার জন্য নড়াচড়া বা হাটাচলা করতে কষ্ট হয়।

২. কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

৩. অনেক সময় এত বেশি ব্যাথা যে দাঁড়িয়ে থাকাও যায় না। ব্যথার সঙ্গে পায়ে শিন-শিন বা ঝিন-ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোন এক পায়ে নামতে পারে।
৫. ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছন দিক দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে তবে সাধারণত হাটুর নিচে যায় না।

৬.  দৈনন্দিন কাজ যেমন নামাজ পড়া, বালতিতে পানি তোলা ইত্যাদি ব্যাহত হয়।

নিচের লক্ষণ গুলোকে লো ব্যাক পেইন এর ক্ষেত্রে বলা হয় Red Flag Features এবং এগুলো থাকলে রোগির তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রয়োজন :

১. বয়স ২০ এর কম বা ৫০ এর অধিক
২. কাছাকাছি সময়ের মাঝে যদি কোমরে আঘাত পেয়ে থাকে
৩. ক্রমাগত ব্যাথা বাড়ছেই এবং বিশ্রাম নেবার পরও কমছে না
৪. প্রস্রাব করতে সমস্যা
৫. মেরুদন্ডের থোরাসিক কশেরুকার স্থানে ব্যাথা
৬. পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনে সমস্যা হওয়া।

রোগনির্ণয়

কোমরের কিছু পরীক্ষা রয়েছে। ফরোয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, ব্যাকওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা।
নিউরোলজিক্যাল ডিফিসিয়েন্সি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়।
কোমরের এক্স-রে এবং এমআরআই করতে হবে।
রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা হয়। ক্যালসিয়ামের পরীক্ষা, ইউরিক এসিডের পরিমাণ, শরীরে বাত আছে কি না—এসব পরীক্ষা করতে হয়।
ক্রনিক ব্যাক পেনের ক্ষেত্রে এইচএলএবি-২৭ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
কোমর ব্যাথায় ব্যায়াম
কোমর ব্যথার জন্য সবচেয়ে ভালো প্রতিষেধক হলো ব্যায়াম। সামনের দিকে ঝুঁকে কোনো ব্যায়াম করবেন না। এতে ব্যথা আরো বেড়ে যাবে। প্রত্যেকটি ব্যায়াম করার আগে সেই ব্যায়ামের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিতে হবে। বর্তমানে ইউটিউবে প্রায় সব ব্যায়ামের ভিডিও বা কিভাবে সঠিকভাবে করা যায় সে ব্যাপারে টিউটোরিয়াল পাবেন। তবে, প্রথমে সহজ ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। প্রতিদিন অল্প অল্প করে ব্যায়াম করুন। এ ক্ষেত্রে নিচের ব্যায়ামগুলো করা যেতে পারে।

এক

শুরুতেই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার শরীরের পাশে হাত দুটি রেখে দিন। ২-৩ মিনিট বিশ্রাম করুন। এবার হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে শরীরের ওপরের অংশ আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন। এভাবে ২-৩ মিনিট থাকুন।  আস্তে আস্তে আবার সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।

দুই

উপুড় হয়ে শুয়ে হাতগুলো শরীরের পাশে রেখে দিন। এবার হাতের ওপর ভর না দিয়ে ডান পা সোজা রেখে শ্বাস নিতে নিতে আস্তে আস্তে ওপরের দিকে তুলুন। যতটুকু পারেন ওপরে তুলে ধরে রাখুন। নিঃশ্বাস বন্ধ করে মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুনুন। শ্বাস নিতে নিতে আস্তে আস্তে নিচে নামান। একইভাবে বাঁ পা’ও উপরে তুলে একই ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন যতক্ষন বা যতবার ডান পা তুলবেন একইভাবে একই পরিমান বা পা’ও উঠাবেন।

এবার দুই পা একসঙ্গে সোজা করে ওপরে তুলে ১০ পর্যন্ত গুনুন। আস্তে আস্তে নামান। এবার হাতের ওপর ভর না দিয়ে দুই পা ও কোমরের ওপরের অংশ একসঙ্গে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে ধীরে ধীরে নিচে নামান।  পাঁচ বার করতে পারেন।

ব্যথা বেশি হলে

আপনার কোমরের ব্যাথা যখন খুব বেশি হবে তখন খুব দ্রুত একজন অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ কিংবা একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন।

ব্যাক পেইনের ব্যাথা কমাতে ইউটিউব থেকে একটা ভিডিও দেখা যেতে পারে !

কোমর ব্যথার প্রতিকার
ফার্মাকোথেরাপি :- ব্যাথার প্রকৃতি আর কারন বুঝে চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ, মাসল রিলাক্সজেন ও সেডেটিভজ জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন।  যেহেতু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে সেজন্য অবশ্যই  একবার ঔষধা খাবার পরে আবার ঔষধ খেতে চাইল  একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়া উচিত।

ফিজিওথরাপি :- ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অন্যতম এবং একটি অপরিহার্য শাখা। শুধুমাত্র ঔষধ সব রোগের পরিপুর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। বিশেষ করে বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা থেকে যে সব রোগের সৃষ্টি হয়, তার পরিপুর্ণ সুস্থতা লাভের উপায় ফিজিওথেরাপি। যেহতু কোমর ব্যাথা মূলত মেকানিক্যাল সমস্যা থেকে হয় তাই কোমর ব্যথাজনিত সমস্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি।

কোমর ব্যাথায় চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, লাম্বার ট্রাকশন শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি, অতিলোহিত রশ্মি,  ট্রান্স কিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক নার্ভ ইস্টিমুলেটর, ইন্টারফেরেনশিয়াল থেরাপি, ইনফারেড রেডিয়েশন, ইলেকট্রিক নার্ভ ও মাসেল ইস্টিমুলেটর, অটো মেনুয়াল ট্রাকশন, হাইড্রোথেরাপি, লেজার থেরাপি ও বিভিন্ন প্রকার ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় চিকিৎসক  কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস  এর উপদেশও দেন।

সার্জারি :- ফার্মাকোথেরাপি বা ঔষধ সেবন ও অনেক দিন ফিজিওথেরাপি দেওয়ার পরও যদি রোগীর ব্যাথার কোন পরিবর্তন না হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকগুণ হয়ত রোগীর মেরুদন্ডের অপারেশন বা সার্জারির করনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  কেউ সার্জারী করালে পরবর্তিতে রোগীকে চিকিৎসকের নির্দেশানুসারে নির্দিষ্ট ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হয়।

কোমর ব্যথায় যে কাজগুলো করা উচিত নয়
সারা দিন আমাদের কত কাজই করতে হয়।  এ ছাড়া দৈনন্দিন আমরা অনেক কিছুই করি।  কোমরে ব্যথা থাকলে কিছু কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নিন কি কি করা উচিত নয়ঃ

১.  ভারী জিনিস বহন করলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। তাই একবারে বেশি ওজন বহন না করবেন না। নিচ থেকে বা মাটি থেকে কিছু তুলতে হলে না ঝুঁকে হাঁটু ভাঁজ করে বসুন ও তারপর তুলুন।

২.  কোমর ব্যথায় আক্রান্তরা সাধারণত ব্যায়াম করা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। ব্যায়াম পেশিকে শক্ত করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই ব্যায়াম করুন। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য সঠিক সেটি চিকিৎসকের কাছে থেকে জেনে নিন।

৩.  বসার সময় হাত ও পায়ের অবস্থান ঠিকমতো না থাকলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। তাই চেয়ারে বসার সময় কোমর সামনের দিকে ঝুঁকে না বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন । এ জন্য দু-একটি ছোট কুশন কোমরের নিচের অংশে রেখে বসতে পারেন। এতে কোমর সোজা থাকবে। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকবেন না।

আর অন্তত এক ঘণ্টা অন্তর একটু হাঁটুন, বসার প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন। এ ক্ষেত্রে চেয়ার পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন। চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে রাখবেন না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। এমনভাবে বসুন, যেন হাঁটু ও ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
৪. ঘাড়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না। ভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন। পিঠে ভারী কিছু বহন করতে হলে সামনে ঝুঁকে বহন করুন।

৫. কাটা, রান্না, মসলা পেষা, ঘর মোছা, কাপড় কাচা, ঝাঁট দেওয়া বা নলকূপ চাপার সময় মেরুদণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।

৬ . কোমর ব্যথা হলে অনেকেই গরম বা ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিয়ে থাকেন। এতে অল্প সময়ের জন্য আরাম হলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতে চিকিৎসা না করে চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন। আর এক সপ্তাহের বেশি ব্যথা থাকলে দেরি করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। ব্যথা হলে নিজেই ডাক্তারি করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।

৭.  কোমরের ব্যথায় ভুগলে বিছানা থেকে ওঠার সময় অসতর্ক হবেন না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন।  চিত হয়ে শুয়ে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার ধীরে ধীরে একপাশে কাত হোন। পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, কাত হওয়ার দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।

৮. কোমর ব্যাথায় নরম বিছানায় ঘুমাবেন না।  শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে পুরো শরীর যেমন সাপোর্ট পায়, তেমনি নিচের দিকের স্পাইনগুলোতে চাপ কমে যায়। শক্ত বিছানা বলতে কিন্তু খালি কাঠ নয়, আমরা যে তোশক ব্যবহার করি সেটিই, তবে খুব বেশি নরম যেন না হয়। কাত হয়ে অথবা চিত হয়ে শোবেন কিন্তু উপুড় হয়ে শোবেন না।

৯. অনেকেই কোমর ব্যথা হলে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলে। এটা একেবারে ঠিক নয়। বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।

১০। ইদানীং মুটিয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে কোমর বা মেরুদণ্ডের ব্যথার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে৷ অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের  হাড় এবং কশেরুকার ডিস্কগুলোতে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে৷ সুতরাং স্থূলদেহীদের ওজন কমাতে হবে ।  খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি শারীরিক শ্রম বা ব্যায়ামের মাধ্যমে  ওজন কমাতে হবে। যখন খুব বেশি সমস্যা দেখা দিবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।


Author: Sushanta Kumar Ghosh, Physiotherapy Specialist, DIU Medical Center.