Author Topic: হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কেন বাড়ে-কমে?  (Read 2122 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Dr. Sushanta Kumar Ghose

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 363
  • Gender: Male
    • View Profile


প্রতি বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান হৃদ্ রোগে আক্রান্ত হয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২। ব্যক্তি বিশেষে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৬০ বার থেকে সর্বোচ্চ ১০০ বারও হতে পারে। তবে যারা পেশাগত ভাবে খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা করেন, তাদের হৃদ্‌স্পন্দনের হার অপেক্ষাকৃত কম হয়। কিন্তু হৃদ্‌স্পন্দনের হার বেশি বা কম হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হওয়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হ্রাস একাধিক অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার মিনিটে ৬০ বারের থেকে কমে যাওয়াকে বিজ্ঞানে ব্রাডিকার্ডিয়া বলা হয়। আবার হৃদ্ স্পন্দনের হার ১০০ বারের থেকে বেড়ে গেলে তাকে বলে ট্যাকিকার্ডিয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কম হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে।

১। হৃদ্‌স্পন্দনের হার কমে যাওয়া হৃদ্‌রোগের অন্যতম লক্ষণ। হৃদ্‌যন্ত্রের যে অংশটি হৃদ্‌স্প‌ন্দনের উৎস, তার নাম সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড। এই সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড সঠিক ভাবে কাজ না করলে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যেতে পারে।

২। টাইফয়েডের মতো কিছু রোগের ফলেও হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যায়।

৩। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ না করলেও কমতে পারে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার ।

৪। রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদ্‌যন্ত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার হৃদ্‌স্পন্দনের হার স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলেও সেটি ডেকে আনতে পারে বিপদ। ফলে যে সব অসুখে হৃদ্‌স্পন্দনের হার বাড়ার ঝুঁকি থাকে, সে সব সময়ে বেশি সতর্ক হতে হবে।

১। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত যেকোনো ধরনের জ্বরে হৃদ্‌স্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়।
২। সংবহনতন্ত্রের সমস্যা থাকলে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার।
৩। রক্তাল্পতা ও হাঁপানির মতো সমস্যাও হৃদ্‌স্পন্দনের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪। কোভিডের পরও বেশ কিছু রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

হৃদ্‌স্পন্দনের অস্বাভাবিক হার হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ক্লান্তি, ঝিমুনি, বুক ধরফর করা, শ্বাসকষ্ট-সবই হৃদ্‌রোগের লক্ষণ। তাই এই ধরনের সমস্যা উপেক্ষা করা একেবারেই অনুচিত। বর্তমানে হৃদ্‌স্পন্দন মাপার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ায় প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে দিয়েই এর পরিমাপ সম্ভব। কাজেই যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


রসাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার সহজ পদ্ধতি

গরমকালে বহু রসালো ফল বাজারে ওঠে। তার মধ্যে একেবারে গোড়াতেই থাকবে তরমুজের নাম। এই ফলের বহু ধরনের গুণ রয়েছে।

তরমুজ খেলে কী কী উপকার হয়?

* তরমুজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
* চোখের উপকার করে
* লিভারের ক্ষমতা বাড়ায়
* পেশি ও স্নায়ুর উপকার করে

যেকোনো তরমুজ থেকেই এই সব উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এর পাশাপাশি যদি তরমুজ মিষ্টি হয়, তাহলে তো কথাই নেই।

তরমুজ মিষ্টি কি না, কী করে বুঝবেন?

* তরমুজের কাঁচা ডাঁটা থাকলে বোঝায় এটি পাকেনি। পাকার আগেই তরমুজটি বাজারে আনা হয়েছে। এ ধরনের তরমুজ কিনবেন না। এমন তরমুজ কিনুন, যার ডাঁটা শুকিয়ে গিয়েছে। সেটি মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

* খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো। সেগুলোর মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

* অনেকে মজা করে তরমুজকে নারী-পুরুষ— দু’ভাগে ভাগ করেন। গোলগুলোকে বলা হয় নারী তরমুজ। আর পুরুষগুলো লম্বাটে। এর মধ্যে নারী তরমুজ বেশি মিষ্টি হয়, আর পুরুষগুলো একটু পানসে।

* কেনার সময়ে তরমুজের গায়ে টোকা দিয়ে দেখুন। ভারি আওয়াজ হলে, সেটি রসালো ও পাকা তরমুজ। না হলে তাতে পানি বেশি।

* রসে ভরা মিষ্টি তরমুজ হবে ভারী। হাতে নিয়ে যদি তরমুজটি হালকা বা ফাঁপা মনে হয়, তাহলে সেটি না কেনাই ভালো।

* তরমুজের যে অংশ দীর্ঘদিন মাটির সাথে লেগে থাকে, সেই অংশ হলুদ হয়ে যায়। তরমুজ কেনার আগে দেখে নিন, তাতে হলদে দাগ আছে কি না। বড় হলুদ দাগ থাকা মানে তা পেকে যাওয়ার পর জমি থেকে ওঠানো হয়েছে। সাদা দাগ মানে তরমুজ কাঁচা অবস্থায় জমি থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে।

* একদিক বড় অন্যদিক ছোট- এমন তরমুজ কিনবেন না। অনেক সময়ে পানির অভাবে তরমুজের এমন আকার হয়। এসব তরমুজে রস বেশি হয় না।

Source:https://www.onnoekdiganta.com/