Author Topic: শরীর ফিট রাখতে করনীয়। প্রকৃতিক ভাবে ফিট রাখুন নিজেকে  (Read 1595 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Dr. Sushanta Kumar Ghose

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 363
  • Gender: Male
    • View Profile
আমরা জানি স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। কিন্তু কিভাবে মন ও শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হয় আমরা অনেকেই জানি না। আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো কিভাবে শরীর স্বাস্থ্য সুন্দর ও আকর্শনীয় করে তুলবেন।
প্রাকৃতিক ভাবে শরির ফিট রাখাতে করনীয়

প্রকৃতিকভাবে শরীর ফিট রাখতে যেসব খাবার খাওয়া উচিৎঃ

আপনার শরীর সুস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতি দিন একই ধরণের খাবার পরিহার করতে হবে। তার জন্য আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে প্রতিদিনের ভিটামিন ও আশ যুক্ত সকল খাবার। এছাড়া খাবারের গুনগত মান অকশ্যই ঠিক রাখতে হবে। খাবার বেশি পরিমাণ নয়। তবে অল্প খান ভিটামিন যুক্ত খাবার খান।


আঁশযুক্ত খাবার খানঃ

প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার পরিমাণ মতো আহার করুন। যেম সকালের নাস্তা হতে পারে ভুট্টা, গম মিশ্রিত খাবার, ফলমুল এবং দই থাকতে পারে। উক্ত খাবার খেলে আপনার ভালো ভাবে পেট ভরে যাবে এবং পেট পরিষ্কার থাকে। এ সকল খাবর খেলে অনেক ধরণের রোগ থেকে বিরত থাকা যায়।

সকালের নাস্তা ফুলমুল আপেল, কমলা ও আঙ্গুর নয়, আমি যে মৌসমের ফল পাবেন সেটা খেলেই চলবে।

শাক সবজি ও তাজা ফলঃ

প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শিম, বরবটি ইত্যাদি সবজি যথেষ্ট পরিমাণের থাকা প্রয়োজন। এ সব খাবার শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বড় ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করে। যারা বেশি বেশি শাক সবজি খান তাদের হাঁপানি ও এর্লাজির ঝুঁকি থাকে না। আমাদের সবার প্রয়োজন বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়া।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিঃ

আমরা জানি শাক সবজিতে অনেক ভিটামিন রয়েছে। যেমন কচুপাতা যা খাইলে আমাদের চোখের দৃষ্টি ভালো থাকে। এটি ডাক্তারি পরামর্শ মতে জানা গিয়েছে।

ব্রেন ভালো রাখার উপায়ঃ

মানুষের মস্তিষ্ক সুস্থ্য রাখার জন্য প্রয়োজন গ্লুকোজ ও শর্করা। এছাড়া আরও রয়েছে মাছ, মাংস, মিষ্টি আলু, ফল, নুডলস, ডিমের কুসুম ইত্যাদি।

দুধের তৈরি খাবারঃ

প্রতিদিন খাবারের তালিকায় দুধ রাখা প্রয়োজন। কিন্তু যাদের এর্লাজির সমস্যা রয়েছে তার দুধ পান করা নিষেধ। তবে যাদের এই সমস্যা আছে তাদের অন্য ভাবে দুধ খেতে হবে যেমন অনেক পিঠা আছে যা দুধ দিয়ে তৈরি হয়। সে সকল খাবার খেতে পারবেন। আর যারা স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন তারা প্রতিদিন দুধ পান করবেন এতে শরীরের গঠন ভালো হবে।

আদা ও রসুনের উপকারিতাঃ

আদা এমন একটি উপাদান যা মানুষের অনেক উপকারে লাগে যেমন আপনার যদি ঠান্ডা লাগে আদা রস করে বা চিবিয়ে খান। রসুন ঠান্ডার কাজে লাগে যেমন কাঁচা রসুন লবণ দিয়ে খেলে ঠান্ডা পেঁকে যায়। উক্ত পেঁয়াজ, রসুন, খেলে ক্যানসার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার করে।

শরীর ভালো রাখতে হাঁটুনঃ

প্রতিদিন সকালে এক থেকে দেড় ঘন্টা হাঁটুন। হাঁটার মাধ্যমে আপনার হাত পা খোলামেলাই নারা চারা করবে এবং সকালের সুন্দর আবহাওয়া অনুভব করতে পারবেন। এতে করে আপনচর শরীর গঠন ভালো হবে। হাঁটার সময় সঙ্গী থাকলে ভালো আর যদি কেউ না থাকে তবে একাই হাঁটুন। হাঁটা হাটি শেষ করে রিলাক্স নিন কিছু সময় এবং অনুভব করবেন আপনার শরীর ও মন দুটোই ফুরফুরে লাগবে। হাঁটা হাটি ও ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।


শরীর ও মন ভালো রাখার কার্যকরি নিয়মঃ

♦ রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ২-৩ কিঃমিঃ হাঁটুন।

♦ কোন জায়গায় বসার সময় অবশ্যই সোজা হয়ে বসুন। যেমন অনেকে আছে যারা স্টাইল করে চেয়ারে বসে কিন্তু সে বুঝে না তার অনেক বড় ক্ষতি হয়, ক্ষতিটা হলো কমরের মাজা। তাই চেয়ারে বসার সময় সোজা হয়ে বসতে হয়।

♦ চিনি, গুড়, মিষ্টি, জিলাপি ইত্যাদি খাবার কম কম খান। এতে শরীরকে মোটা করে এবং মেদভূরী বাড়াই। তাই বেশি মিষ্টটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে সব কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে মধু ১ নম্বর এই মধু সব কিছুর চেয়ে মিষ্টি এই মিষ্টি প্রতিদিন খেলেও কোন সমস্যা হবে না উপকার ছাড়া।

♦ শরীর ফিট রাখতে এছাড়া কচু পাতা শাক হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই শাক খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

♦ গরমের সময় মানুষ সাড়া দিন কাজ কর্ম করে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায় ঘাম যুক্ত শরীর নিয়ে। এতে করে শরীরে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়। তার জন্য ঘুমানোর আগে রাতে গোসল করে ঘুমাতে গেলে শরীর সুস্থ্য থাকে রোগ নাগালের বাহিরে চলে যায়।

♦ চুল প্রতিটি মানুষের সুন্দর্য। যার মাধ্যমে আপনি মানুষের কাছে আকর্শনীয়। কারণ চুর হলো সুন্দর্যের প্রতিক। চুলের যত্ন নিতে প্রতিদিন গোসলের সময় স্যাম্পু ব্যবহার করুন। এছাড়া চুল লাল হওয়া থেকে রক্ষা পেতে তৈল দেওয়ার অভ্যাস করুন।

♦ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় ঢিলে ঢালা পোশাক পড়ে ঘুমানো উচিত। আর টাইট ফিট পোশাক পড়ে ঘুমালে আপনার কমরের সমস্যা হতে পারে হার ক্ষয় চেতেরপারে কমর চিকন হয়ে যেতেরপারে। তাই ঢিলে ঢালা পোশাক পড়ে ঘুমান

পরিশেষেঃ

উপর্যুক্ত আলোচার প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, শরীর স্বাস্থ্য ও মন ভালো রাখার জন্য নিজেকে পরিপাটি রেখে জীবনযাপন করতে হবে। এতে করে শরীর স্বাস ভালো থাকবে।

শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। তার জন্য নিজের প্রতি খেয়াল রেখে, শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার চেষ্টা করুন। আমাদের হতভাগা ডট কম ওয়েব সাইটের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Source: https://hotovaga.com/