১) ভুল ব্যায়াম করাহঠাৎ করে জিমে যাওয়া শুরু করলেন এবং এক্সারসাইজ করা শুরু করলেন। কোচের পরামর্শ ছাড়া হুট করে শুরু করে দেওয়া ব্যায়াম আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এভাবে ভুল নিয়মে ব্যায়াম করা আপনার শরীর এবং মাংসপেশীর জন্য ক্ষতিকর। জিমে যাওয়া শুরু করার আগে সেখানকার কোচের পরামর্শ নিয়ে নিন। কি ধরনের ব্যায়াম করবেন, কোন ব্যায়ামটি আপনার শরীর নিতে পারবে, একটি
২) খালি পেটে ব্যায়াম করাঅধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা খালি পেটে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেকোনো ওয়ার্কআউট শুরু করার আগে কিছু পরিমাণের গ্লুকোজ গ্রহণ করা উচিত। এটি আপনার দুর্বলতা কমিয়ে দিবে এবং ঘুম ঘুম ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। যখন আপনার শরীরের সুগারের পরিমাণ কমে যায় তখন মাংসপেশী থেকে গ্লাইকোজেন বের হয়ে আসে আপনাকে দুর্বল করে থাকে। তাই ব্যায়াম শুরু করার ৪৫ মিনিট আগে কলা কিংবা লো-ক্যালোরির দই খেতে পারেন।
৩) কার্ডিওঅতিরিক্ত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্ডিও ব্যায়াম বেশ কার্যকর। তাই বলে যদি মনে করেন বেশি বেশি কার্ডিও ব্যায়াম করলে ওজনটা দ্রুত কমে যাবে তাহলে আমি ভুল ধারণা নিয়ে আছেন। অতিরিক্ত কার্ডিও এক্সারসাইজ আপনার পেশীশক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়া পেশী টান, পেশী ব্যথাসহ ইত্যদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত কার্ডিও না করে ৩০-৬০ মিনিট কার্ডিও করুন।
৪) ভুল খাদ্যাভ্যাসঅনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবার খাওয়া বাদ দিলে, দ্রুত ওজন কমে যাবে। কিন্তু এটা তেমন সত্য নয়। ওয়ার্কআউট-এর পর আপনাকে অব্যশই খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং তা পুষ্টিকর খাবার হতে হবে। সঠিক খাবারের অভাবে আপনার মাংসপেশি ভেঙে পড়তে পারে। ওয়ার্কআউট-এর পরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। প্রসেসড ফুড বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। খেজুর, পিনাট বাটার এবং কলার স্মুদি, আপেল, কাঠবাদাম, কিংবা মিষ্টি আলু খেতে পারেন ওয়ার্ক আউটের পরে। এই খাবারগুলো থেকে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন পাবেন।
৫) অপর্যাপ্ত ঘুমসুস্থ থাকার জন্য পরিমাণমত ঘুমের তুলনা নাই। আপনি ওয়ার্কআউট করে যাচ্ছেন, ঠিকমত ঘুমাচ্ছেন না। এতে আপনার শরীর এবং মাংসপেশী পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছে না যার কারণে আপনার ক্লান্তি কিংবা পেশী ব্যথা কোনটাই কমছে না। ঘুম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং কোরটিসোল-এর মাত্রা হ্রাস করে যা টেসটোসটেরন এবং এইচজিএইচ লেভেলে ভারসাম্য বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৬) কম প্রোটিনের ডায়েটওয়ার্কআউট-এর পর পেশী ব্যথা কমানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েট আপনার মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে বাঁধা প্রদান করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিনযুক্ত খাবার হজম করতে ৩০ পারসেন্ট পর্যন্ত ক্যালোরি বার্ন হয়ে থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন।
৭) একই রকম ওয়ার্কআউটএকইরকম ওয়ার্কআউট করতে করতে ওই ওয়ার্কআউট-এ অভ্যস্ত হয়ে যাই আমরা। আর বার বার সেই ওয়ার্কআউট-টি করে থাকি। কিন্তু একই রকম ওয়ার্কআউট করার কারণে আপনার মাংসপেশী একটি জায়গায় আটকে যাবে এবং একটা সময়ে যেয়ে আপনি তেমন একটা উন্নতি দেখতে পাবেন না। তাই মাঝে মাঝে নতুন ওয়ার্কআউট ট্রাই করা উচিত।
এবার থেকে ওয়ার্কআউট করার সময় এই ৭টি অভ্যাস লক্ষ্য করে বর্জন করবেন। দেখবেন আপনার ওজন কমে যাচ্ছে আপনার মনের মতো।