৩০ গ্রাম ভাতের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২৩ গ্রাম। আবার ৩০ গ্রাম আটার ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২২ গ্রাম। ভাতে প্রোটিন থাকে ২ গ্রাম আর আটা বা রুটির ক্ষেত্রে প্রোটিন থাকে ৩ গ্রাম। ভাতে ফ্যাট থাকে ০.১ গ্রাম এবং আটা বা রুটিতে ফ্যাট থাকে ০.৫ গ্রাম। ভাতে ফাইবার থাকে ০.১ গ্রাম এবং আটা বা রুটিতে থাকে ০.৭ গ্রাম।
ভাতে আয়রন থাকে ০.২ মিলিগ্রাম এবং রুটিতে থাকে ১.৫ মিলিগ্রাম। একই পরিমাণ ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে ৩ মিলিগ্রাম এবং আটাতে বা রুটিতে থাকে ১২ মিলিগ্রাম। ভাতে এনার্জি থাকে ১০০ ক্যালোরি ও আটাতেও থাকে ১০০ ক্যালোরি।
ভাত এবং রুটি দুটিতেই আছে প্রচুর ফলেট যা নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শিশুর জন্মগত ত্রুটি ঠেকাতেও কার্যকর। সেই কারণে গর্ভবতী মায়েদের রুটির থেকে ভাত বেশি খাওয়া ভালো।
রুটি ও ভাতে আয়রনের পরিমাণ সমান হলেও ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ রুটির তুলনায় ভাতে কম।
সব মিলিয়ে ভাত, রুটি দুটিতেই রয়েছে উপকার। আর চিকিৎসকরা মনে করেন, ভাত ও রুটি মিশিয়েই খাওয়া উচিত। দুটি খাবারই শরীরের কোন না কোন প্রয়োজন পূরণ করে। একবেলায় রাখতে পারেন ভাত, অন্য বেলায় রাখুন রুটি।
তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোনটাই ভাল নয়। এ দুটি খাবারের পরিমাণ কম রেখে এর সঙ্গে বেশি বেশি সবজি রাখুন। তবে আপনার স্বাস্থ্যের সব রকম চাহিদা পূরণ হবে।
Source: স্বাস্থ্য টিপস