Author Topic: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে  (Read 2137 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Dr. Sushanta Kumar Ghose

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 363
  • Gender: Male
    • View Profile


ডেঙ্গু কী
ডেঙ্গু হচ্ছে একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়,যা ডেঙ্গু জ্বর নামে পরিচিত। ডেঙ্গু আবার চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক, ডেঙ্গু জ্বর কোনো মারাত্মক জ্বর না কিন্তু 100 ভাগ এর মধ্যে 10 ভাগ লোকের এ ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক ভাবে হয়ে থাকে। এ রোগের বাহক বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আজকে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে, এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ
ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা বুঝবো কেমনে এটা ডেঙ্গু জ্বর না সাধারণ জ্বর এটি জানতে নিম্নে লক্ষণ  দেওয়া হল:

- শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
 - হাড় ব্যথা করা এবং শরীর মেসেজ করা।
- খাবার খাওয়া কমে যাওয়া।
- শরীরে ফুসকুড়ি হাওয়া।
- জ্বর মাথা ব্যাথা হাত পা ব্যথা হওয়া।
- বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
 - 3-4 দিনের মধ্যে  হাত পা সারা শরীর লালচে হয়ে যায় অনেক চুলকায়।
- রক্তচাপ কমে যায় এতে মৃত্যু হতে পারে।
 - এ রোগটিতে সাধারণত 102 থেকে 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর হতে পারে।
- চোখের মনির নিচে ব্যথা করে।
- দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে।
 - শরীরের অনেক অংশই এবং পেটের  ভিতরে ফুলে যেতে পারে।
- এটি 4 থেকে 6 দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়।


ডেঙ্গু শক সিনড্রোম, ও ডেঙ্গু জ্বরের সিনড্রোম এবং লক্ষণগুলো একই জিনিস। এই লক্ষণ ও সিনড্রোম গুলোর মধ্যে অন্যতম 2 টি সিনড্রোম আছে সেগুলো হলো:

শক সিনড্রোম  এবং
হিমারেজিকসিনড্রোম।


শক সিনড্রোম  :


-সাধারণ জ্বর হলে যেমন সব সিনড্রোম দেখা দেয় তা হল এক থেকে সাত দিনের মধ্যে এ রোগ সেরে যায়।
-ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম বা লক্ষণ চার ধরনের রয়েছে সেগুলো হলো: প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় এবং চতুর্থ। প্রথম এবং দ্বিতীয় অতি সাধারণ যা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করলে এ জ্বর থেকে -আরোগ্য লাভ করা যায়। আর তৃতীয় এবং চতুর্থ সিনড্রোম দেখা দিলে অতি সত্বর চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হলে অনেক জটিল আকার ধারণ করে।
-লক্ষণ গুলো দেখা দিলে হঠাৎ করে মাথা ব্যাথা করা, মাংসপেশি এবং হার অনেক বেশি ব্যথা করা, শক সিনড্রোম এ হঠাৎ করে বমি করা, চোখের নিচে হঠাৎ করে ব্যথা করা, শরীরের ক্লান্তি এবং দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

হিমারেজিক সিনড্রোম:

-হিমারেজিক সিনড্রোম এটি একটি মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বর যা থেকে মারাত্মক রকমের রক্তক্ষরণ হয়।
-বমির সাথে এবং কাশির সাথে রক্ত বের হয়, এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত বের হয়, পায়খানার রাস্তায় রক্ত বের হয়।
-একজন সুস্থ মানুষের যদি দেড় লাখ থেকে 3 লাখ এর মত প্লাটিলেট থাকে তাহলে ডেঙ্গু হওয়ার পর যদি কোন মানুষের প্লাটিলেট যদি কমে 20,000 হয়ে যায় তাহলে তার অবস্থা কি হতে পারে একবার ভেবে দেখেন। এটি শক সিনড্রোম এর চেয়ে অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হয় বা লক্ষণ দেখা দেয়।

প্রথমে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা

ডেঙ্গু পরীক্ষা কখন করবেন নিম্নে দেওয়া হলঃ

যদি এ ধরনের সিমটম থাকে যেমন- বমি বমি ভাব বমি করা, সারা শরীর সহ মাথা,মাংসপেশির ব্যথা  দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া শরীরে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি ওঠে ইত্যাদি  পয়েন্টে পয়েন্টে ব্যথা এসব বেশিরভাগ দেখা দিলে প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে যেমন-হসপিটালে গিয়ে রক্ত দিয়ে এ পরীক্ষাটি করতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
ডেঙ্গু জ্বরের সিংটম সাধারণত দুই থেকে তিন দিন এর মত হয় তাহলে এটিকে ডেঙ্গু জ্বর ধরা হবে এটি একটি মারাত্মক রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে চরম ভাবে ছড়ায় এটি সময়কাল প্রায় দুই থেকে  সাতদিন পর্যন্ত এটি স্থায়ী হয় কিন্তু এটি  যদি অনেক দিন স্থায়ী হয় যেমন সাত থেকে দশ দিন হয় তাহলে হসপিটালে এডমিট করতে হবে না হলে মৃত্যু হতে পারে

ডেঙ্গু হলে করণীয়
ডেঙ্গু জ্বর হলে তার পাঁচটি করণীয় নিচে দেওয়া হল:

ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন প্রথম স্টেপ এর ডেঙ্গু জ্বর হলে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে  প্রথমবার মাঝামাঝি ডেঙ্গু জ্বর হলে।
হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন এবং অন্য কিছু কাজ করতে হবে।
যাদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট অ্যাজমা এবং গর্ভবতী এর সমস্যা আছে তাদেরকে হসপিটালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের সুরক্ষা এর তিনটি উপায়
- সব সময় বিশ্রাম করতে হবে কোন কাজ করা যাবে
- তরল পানীয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে
- ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং ঠিকমতো গোসল করতে হবে আর পাঁচ অক্ত নামাজের মাধ্যমে পাক-পবিত্র থাকতে হবে এবং আল্লাহু দোয়া চাইতে হবে

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা
ডেঙ্গু হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে জ্বর যত বাড়ে মানুষের মনে দুর্বল ভাব ততই বারে। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য কোন চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন অথবা কোন ঔষধ নেই। সেই চিকিৎসা বাংলাদেশে এখনো আসে নি ডাক্তারের পরামর্শ মত চললে এ জ্বর ভালো হয়েছে বা হয় তার জন্য কিছু চিকিৎসকের

ডাক্তারের পরামর্শে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
শরীর এবং মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া।
ডাক্তারের  পরামর্শে  মাথা ব্যথা শরীর ব্যথা এর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে যেমন- প্যারাসিটামল নাপা এক্সট্রা এবং ঠান্ডার জন্য হিস্টাসিন ট্যাবলেট খেতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শে তরল জাতীয়  এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন- লেবুর শরবত, পেয়ারার শরবত, কমলার শরবত, ডালিমের জুস, আমের জুস এবং আরো অনেক ভিটামিন সি  ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে খাওয়া।
অনেক কিছু  চিবিয়ে খাবেন যেমন-পুদিনা পাতা, তুলসী পাতা এবং মরিচ গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।
শ্বাসকষ্ট অথবা  হার্ডের প্রবলেম এবং অনেক বেশি পেটে ব্যথা হলে ডাক্তারের  পরামর্শ ওষুধ খাওয়া।
শরীর ক্লান্তি এবং দুর্বল হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা বা কোন কিছু খাওয়া।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একজন মানুষ 24 ঘন্টায় ব্যথানাশক ওষুধ 6 ঘণ্টা পরপর চারবার খেতে পারবে।
 ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী যে যে খাবার খাওয়া উচিত নয় সেগুলো হচ্ছে তৈলাক্ত যুক্ত ও ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না। আর চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হবে এবং দোকানের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যাব।

ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি লক্ষণীয় ক্যাটাগরি আছে সেগুলো হলো- ক্যাটাগরি এ,বি,সি  নিম্নে তা দেওয়া হলো-

(এ) ক্যাটাগরি-এখন এ ক্যাটাগরির লোক অনেক বেশি দেখা যায় এ ক্যাটাগরিতে শুধু নরমাল জ্বর হয় যেমন-এর পরে সাধারণত মাথা ব্যাথা, মাথা ঝিমঝিম করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, ইত্যাদি তবে এ ক্যাটাগরির জ্বর অতি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায় শুধু বাসায় বসে কিছু নিয়ম কানুন মানলে এ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায় যেমন-

তরল জাতীয় পানি পান করা।
 মাথা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়া।
 এবং বেশি বেশি খাওয়া-দাওয়া করা।
এক্ষেত্রে কোনো ডাক্তারের পরামর্শ বা হসপিটালে যেতে হয় না।
ক্যাটাগরি-বি – ক্যাটেগরি ডেঙ্গু জ্বর মধ্য জ্বর  নামে পরিচিত যেমন- একদম  নর্মাল আবার একদম বেশি জ্বর না সেটা হচ্ছে বি ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর, সাধারণত জ্বরে এটি সারাতে হসপিটালে যেতে হতেও পারে যে যে কারণে হসপিটালে যেতে হবে তা নিম্নরূপ-

বমি বমি হওয়া বা বমি করা।
প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া এবং শরীর ব্যথা।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রক্ত জমাট বাঁধা।
শরীরে ফুসকুড়ি ওঠা এবং চুলকানি হওয়া।
পায়ের হাড় ও মাংস পেশি প্রচন্ড ব্যাথা করা।
এ রোগটি  চার থেকে পাঁচ দিন অব্দি স্থায়ী হয় কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ  থাকলে সব আলো হয়ে যায়।
 এই রোগটি প্রধানত 102 থেকে 104 ডিগ্রী ফারেনহাইট এ থাকে।
মালা প্রচন্ড ব্যথা করা ডাক দিলে অনেক।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সুরক্ষা

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ তিনটি উপায় নিম্নরূপ:

যত দ্রুত সম্ভব বাড়ির আশেপাশে ময়লা পরিষ্কার করা।
বাসা বাড়িতে কোন স্টোর রুম না রাখা যেমন- বোতল, জিনিস পত্র,  অথবা ফুলের টপ না রাখা থাকলেও জমানো পানি ফেলে দেওয়া।
যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলা সব সময় সবখানে পরিষ্কার রাখা।
ডেঙ্গু’ ছোঁয়াচে রোগ
ডেঙ্গু কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় এটি একটি মশা বাহিত রোগ এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর আগে মশারি টাঙাতে হবে ,বাইরে বের হওয়ার সময় হাতাওয়ালা শার্ট লম্বা প্যান্ট এবং মাথায় টুপি এবং মুখের জন্য মাক্স পড়তে হবে। ঘর  বাড়ির সুরক্ষার জন্য স্প্রে এবং জেল ব্যবহার করতে হবে ডেঙ্গু পণ্য ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিন্তু একজন মানুষকে কামড়ালে মানুষ যদি অন্য মানুষকে কামড়ে দেয় তাহলে তার শরীরের এডিস মশার ভাইরাস ওই অন্য মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাবে। তাছাড়া মানুষে মানুষের সংস্পর্শে হলে এ রোগ হয় না এডিস বাহিত স্ত্রী মশার কামড়ে এ রোগ হয়। 

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না
যে খাবারগুলো খাবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হল:


পানি ও তরল জাতীয় খাবার: ডেঙ্গু রোগের হঠাৎ করে জ্বরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য দিনে তিন থেকে চার  লিটার  অথবা 12 গ্লাস পানি পান করা ডাবের পানি খাওয়া জরুরী।

টাটকা শাকসবজি: আলু,গাজর,শসা,টমেটো,ফুলকপি,বাঁধাকপি,সিম, ইত্যাদি টাটকা শাক-সবজি ভালো করে  দুইয়ে ভালো করে রান্না করে খাওয়া উচিত।

টাটকা ফলমূল: শরীরে দুর্বল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য টাটকা ফলমূল খেতে হবে। যেমন আম,পেয়ারা,আনারস,পেঁপে,লেবু,কমলালেবু ইত্যাদি  রস খেতে হবে শরীরের সকল এবং ঘাটতি পূরণ করার জন্য এগুলো হবে  এগুলো ভালো করে ধুয়ে খাবেনডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়।

বাংলাদেশে কখন ডেঙ্গু জ্বর হয়
বাংলাদেশে প্রথম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে 5 আগস্ট ডেঙ্গু জ্বরের  ঘোষণা দেন তারপর থেকেই মারাত্মক হারে বাংলাদেশ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলেছে এটি প্রায় রাজধানী ঢাকা  শতকরা 80 ভাগ  লোক ওই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে যেমন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এর মধ্যে আরও 50 টি জেলা আক্রান্ত হয়েছে এই বাংলাদেশে

কখন প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন এবং ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেটের ওঠা–নামা
 প্লাটিলেট ট্রানস্ফিউশন বা রক্তক্ষরণ অহেতুক বেড়ে যেতে পারে এ নিয়ে অহেতুক কোন চিন্তা করার দরকার নেই এটি যেমন কমে যাবে তেমন আবার বেশি হয়ে যাবে যদি ওয়াটের রেট 10 হাজারের নিচে এসে পড়ে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে  পরামর্শ নিয়ে প্লাটিলেট পূরণ করতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী খাবেন
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ নানা কারণে নানান জিনিস ভেবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক সময় খাবার খাওয়া মনে থাকে না বা খেতে মন চায় না যে খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন তা নিচে দেওয়া হল :

ফল এর মধ্যে যা খাবেন-লেবু, কমলা,আম,ডালিম, জাম,কলা,পেঁপে ইত্যাদি।
ডেঙ্গু জ্বরে জন্য যে খাবার অত্যন্ত জরুরী তা হচ্ছে- আয়রন আর প্রোটিন।
রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে যে খাবার খেতে হবে সেগুলো হলো পালং শাক,লাল শাক,পুঁইশাক,সামুদ্রিক মাছ,ডালিম,মুসুর ডাল,গরুর কলিজা ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি এবং কে জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি ইচ্ছে গুলো সূর্যের আলো, বাদামের ছোলা সহ,  সিমের ছোলা সহ খাবার ইত্যাদি আর ভিটামিন কে জাতীয় যেমন-সবুজ শাকসবজি বাঁধাকপি,ফুলকপি ইত্যাদি।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত
ডেঙ্গু জ্বরের সময় যে খাবার গুলো এড়িয়ে তার নিম্নরূপ:


তেলাক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না।
ক্রিম যুক্ত নষ্ট খাবার খাবেন না।
 আইসক্রিম বা ঠান্ডা খাবার খাবে না।
ক্যাফিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলবে এটি খেলে হার্টবিট বেড়ে এতে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি।
বাড়িতে কী করবেন, ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার
ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া নিয়ম হলো:

বেশি বেশি পানি পান করা।
চা এবং গরম পানি পান করবেন এবং গরম পানি গরগরা সহ কুলি করবেন।
সরিষার তেল গায়ে মাখবেন।
দুর্গন্ধযুক্ত এলাকায় না থাকা।
সুগন্ধি জিনিস বেশি বেশি ব্যবহার যেমন- রসু, আতর,কেরোসিন,কর্পূর, ইত্যাদি।
ঘুমানোর আগে মসারি টানিয়ে নিতে হবে।
শরীর এবং মাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া,
বেশি করে গরম পানি এবং চা খাওয়া,
বেশি বেশি টাটকা ফল শাকসবজি ভাল করে ধুয়ে খাবেন,
ডাক্তারের পরামর্শ ট্যাবলেট প্যারাসিটামল এবং নাপা এক্সট্রা খেতে হবে,
টাটকা ফলের  রস যেমন- লেবুর রস, পেয়ারার  রস, কমলার রস, ডালিমের রস, আমের জুস, ইত্যাদি
যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়

ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার আগে যাদের আগে থেকেই যে যে সমস্যা আছে তাদের সচেতন হতে হবে:

হাঁপানি,শ্বাসকষ্ট,চুলকানি,নিউমোনিয়া এবং গর্ভবতী ইত্যাদি সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না।  যেমন- নাপা এক্সট্রা,প্যারাসিটামল এবং ব্যথানাশক ঔষধ।
মশা তাড়ানোর কার্যকরি উপায়
কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে মশা নিধন সম্ভব তা নিম্নে দেওয়া হল

পাত্রে পানি জমিয়ে না রাখা-ফুলের টব অথবা কোন বাটিতে।
ঘরে এবং ঘরের চারপাশে স্প্রে এবং জেল ব্যবহার করতে হবে।
সবসময় হাতাওয়ালা শার্ট, ফুল প্যান্ট, এবং মাক্স ইত্যাদি আরো অনেক জিনিস পড়বেন।  বাসা থেকে  কোথাও যাওয়ার সময় এগুলো ব্যবহার করবেন।
নারকেলের ছোলা, নিমপাতা, পুদিনা পাতা পুড়িয়ে বা আগুন ধরিয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে।  তাতে মশার উৎপাত কম হবে।
বারান্দার আশেপাশে বাদুরের বাক্স রেখে দিন এবং টিকটিকি এর বংশ বিস্তার করতে পারে ।
মাঝেমধ্যে লাইট এবং বৈদ্যুতিক ফ্যান জ্বালিয়ে রাখবেন।