Author Topic: রাতের খাবার না খেয়ে লাভ কি?  (Read 2154 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Rasel Ali (IT)

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 643
    • View Profile


রাতের খাবার এড়িয়ে চলা বা বিরতিহীন উপবাসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু করা হয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে রাতের খাবার এড়িয়ে গেলে ওজন হ্রাস, ভাল হজম, ভাল ঘুম এবং এমনকি দীর্ঘ জীবন হতে পারে। যাইহোক, এই দাবিগুলির অন্তর্নিহিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি সীমিত এবং সিদ্ধান্তহীন।

ওজন হ্রাস: মানুষ রাতের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ হল ওজন কমানো। ধারণাটি হল যে রাতে কম ক্যালোরি খাওয়ার ফলে, দিনের বেলা খাওয়া খাবারের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে শরীর শক্তির জন্য চর্বি সঞ্চয় করবে। এটি ওজন হ্রাসের কারণ কিনা তা নিয়ে গবেষণায় মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে। কিছু গবেষণা দেখায় যে এটি একটি কার্যকর ওজন কমানোর কৌশল হতে পারে, অন্যরা যারা প্রায়শই রাতের খাবার খান তাদের তুলনায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখায় না।

হজমের উন্নতি করে: কিছু লোক দেখতে পায় যে রাতের খাবার এড়িয়ে যাওয়া হজমের উন্নতি করতে পারে এবং ফোলাভাব, গ্যাস এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো লক্ষণগুলি কমাতে পারে। যাইহোক, এই দাবি সমর্থনকারী বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সীমিত। আসলে, খাবার বাদ দিলে পরে অতিরিক্ত খাওয়া এবং বদহজম হতে পারে, যা হজমের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। ভালো ঘুম: এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়া আপনার ঘুমের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। যাইহোক, রাতের খাবার এড়িয়ে যাওয়া সেরা বিকল্প হতে পারে না। ভালো ঘুমের জন্য ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জীবন বাড়ায়: বেশ কিছু প্রাণীর গবেষণায় দেখা গেছে যে বিরতিহীন উপবাস আয়ু বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। যাইহোক, এটি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

সাধারণভাবে, রাতের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার সুবিধাগুলি মূলত উপাখ্যানমূলক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে, এবং এই দাবিগুলিকে সমর্থন করার জন্য সীমিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা রয়েছে। খাবার এড়িয়ে যাওয়ার নেতিবাচক পরিণতিও হতে পারে, যেমন শক্তি কমে যাওয়া, ঘনত্বের অভাব এবং পুষ্টির অভাব। আপনার খাদ্য বা খাদ্যাভাসে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার আগে সর্বদা একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।


Collected From Multiple Source