এই সবজির রস আতশবাজির মতো ইউরিক অ্যাসিড কমায়। বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিডের অসুবিধাগুলি

[Rasel Ali (IT)]

আপনার শরীরে, জয়েন্টে, আঙুলে, পায়ের আঙুলে এবং পিঠের নিচের দিকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে, এই সমস্যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা বা পেশীর ক্র্যাম্প শুধু আর্থ্রাইটিস নয়, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণেও হয়ে থাকে। ইউরিক এসিড কি? খারাপ খাদ্যাভ্যাস, একটি বসে থাকা জীবনযাপন বা অত্যধিক চাপের মতো কারণগুলি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।



ইউরিক অ্যাসিড আপনার কিডনি, লিভার এবং হার্টের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করতে পারে। এটি শরীর এবং পেশী ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। রক্তে অত্যধিক ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি আপনাকে হাইপারুরিসেমিয়া, কিডনিতে পাথর, আর্থ্রাইটিস এবং গাউটের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন আনা। প্রথমত, আপনার পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, বিয়ার, অ্যালকোহল, লাল মাংস, কলা, ব্রোকলি ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।



তাজা গাজরের রসে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কারণ গাজরের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন এবং মিনারেল যা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


লেবুর রসের সাথে শসার রস মিশিয়ে পান করলে লিভার এবং কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। এটি পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে, যা কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।



গ্রিন টি শুধুমাত্র আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে না বরং ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ কিছু দিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে।



ইউরিক অ্যাসিড রক্তে পাওয়া একটি নোংরা পদার্থ, যা বাত, কিডনিতে পাথর, গাউটের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে, আপনি ঘরে তৈরি সবজির রস দিয়ে তা কমাতে পারেন।

Collected From Multiple Source