কার্ডিওরেস্পিরেটরি ব্যায়াম হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বয়স্কদের দেহের গ্রোথ হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ কমে যায়। এ ধরনের ব্যায়াম তাঁদের এ হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে।
যাঁদের গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ ভালো হয়, তাঁদের দেহের ব্রাউন ফ্যাট বা বাদামি চর্বি বেশি সংরক্ষিত হয়, যা দেহের জমানো খারাপ চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে শারীরিক ফিটনেস বাড়ে।
এ ধরনের ব্যায়ামের বিভিন্ন ধাপ আছে, যা একজন ফিজিওথেরাপিস্ট শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করে নির্ধারণ করে থাকেন।
কার্ডিওরেস্পিরেটরি ব্যায়ামের উপকারিতা- হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- দেহে রক্ত চলাচল বাড়ায়।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে।
- হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রেস্টিং হার্ট রেট কমাতে সাহায্য করে।
- হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
- হতাশা ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
- জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করে।
কার্ডিওরেস্পিরেটরি ব্যায়ামের নিয়মশুরুতে কম তীব্রতার ব্যায়াম করতে হয়। পরে আস্তে আস্তে তীব্রতা বাড়াতে হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই ব্যায়াম করতে হয়।
একজন মানুষ কতবার, কত তীব্রতায়, কখন, কী ধরনের ব্যায়াম করবে—সেই পুরো প্রক্রিয়াকে বলা হয় এফআইটিটি বা ফিট প্রিন্সিপল। মানুষের বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক গঠন ও স্বাস্থ্যগত শারীরিক অবস্থার ওপর বিবেচনা করে ব্যায়ামের তীব্রতা, সময় ও ধরন নির্ধারণ করা হয়।
বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক: সুশান্ত কুমার ঘোষ, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, ডিআইইউ মেডিকেল সেন্টার