https://youtu.be/Dwdylph8CfQঅনেকেই কোলন ক্যানসারে ভুগছেন ও ঝুঁকিতে রয়েছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স হাসপাতালের জেনারেল ও কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
কোলোরেক্টাল ক্যানসার কাকে বলে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক বলেন, কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলতে আমরা যেটা বুঝি, সেটা হচ্ছে... কোলনকে আমরা বাংলায় বৃহদান্ত্র বলি। বৃহদান্ত্র আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি অঙ্গ। রেক্টাম বলতে আমরা মলাশয় বুঝি, পায়ুপথের আগের অংশটা। বৃহদান্ত্র ও মলাশয়ের ক্যানসারকেই আমরা কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলি।
কীভাবে কেউ বুঝবে তার কোলোরেক্টাল ক্যানসার হয়েছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহরিয়ার মো. সাদেক বলেন, সারা পৃথিবীতে কোলোরেক্টাল ক্যানসার মূলত ক্যানসারের তালিকায় তৃতীয় বা চতুর্থ অবস্থানে আছে। পাশ্চাত্যে এটা বড় একটি সমস্যার কারণ এবং আমাদের দেশেও। যখন একজন মানুষ কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়, তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রোগীদের তেমন কোনও উপসর্গই থাকে না। তারা জানতেও পারে না যে তাদের শরীরে কোলন ক্যানসার আছে। বাকি যে ৮০ শতাংশ মানুষ, তাদের উপসর্গ থাকে, খুব কমন কিছু উপসর্গ থাকে। যেমন পায়খানার ধরন হুট করে পরিবর্তন হওয়া। যেমন দেখা গেল আগে তার নরমাল হতো, এখন কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে, আবার অনেক সময় লুজ মোশন হচ্ছে। মলত্যাগের সময় রক্ত বের হওয়া, মলত্যাগের রাস্তায় ব্যথা করা। অনেক সময় দেখা যায়, মলত্যাগের পরেও স্যাটিসফেকশন হচ্ছে না, বারবার বাথরুমে যেতে হচ্ছে। হুট করে ওজন কমে যাচ্ছে, পেট ব্যথা করছে, পেটে ফাঁপা ভাব থাকছে, কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
কোলোরেক্টাল ক্যানসার কী, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।