Author Topic: আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?  (Read 2216 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

Dr. Lamia Tahsin Kamal Purnata

  • Newbie
  • *
  • Posts: 21
  • Gender: Female
    • View Profile
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার লক্ষ্য একটি সুষম খাবার নিশ্চিত করা, যা আপনার সন্তানের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে । এটি শিশুকে সুস্থ ওজন বৃদ্ধি করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে । আপনার সন্তানকে দিনে তিনবার সুস্থ, সুষম খাবার এবং মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য-বান্ধব জলখাবার দিন । একটি বৈচিত্রময় খাবার অভ্যাসও নিশ্চিত করে যে, তারা যথেষ্ট পুষ্টি, নানা ভিটামিন এবং সমস্থ খনিজ পদার্থ পায়, যেগুলি তাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ।





আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবনের প্রাথমিক বছরগুলিতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ । আপনি আপনার শিশুকে তার প্রাথমিক পর্যায়ে যখন স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করান, তখন এটা সম্ভাবনা থাকে যে, সেটি তার সারাজীবনের সঙ্গী হবে । এটি তাদের বড় হওয়ার পর খাবার সময়ের মারামারি ও বিরক্তিকর মুখ করাও নিশ্চিতভাবে কমিয়ে দেয় । এর ফলে বাইরে খেতে গেলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে আপনার ক্ষেত্রে সহজ হবে । সে জাঙ্কফুড না ফল ও স্যালাড, কিসের প্রতি আসক্ত হবে, এই পর্যায়ে আপনিই তা নির্ধারণ করবেন । স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি, আপনার বাচ্চা যেন সক্রিয় থাকে এবং খেলা ও সূর্যের আলোয় বেরুনোর মতো যথেষ্ট সময় পায়, তা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে । এটা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন কিছুটা কোন করে ।

১) শিশু- ০ থেকে ১৩ মাস
আপনার শিশু তার শৈশবের প্রথম কয়েক মাসে দ্রুত বৃদ্ধি পায় । প্রতি মাসেই আপনার শিশু ওজন অর্জন করে এবং লম্বায় বৃদ্ধি পায় । আপনাকে খুব ঘন ঘন জামাকাপড় কেনাকাটি করতে হবে । আপনার শিশু যেন যথেষ্ট ঘুম এবং ভালো খাবার পায়, সময়সূচী অনুযায়ী টিকা দেওয়া হয় এবং নিয়মিত চেক-আপ করা হয়, তা নিশ্চিত করুন । প্রথম ৬ মাসে শিশুকে বিশেষভাবে বুকের দুধ এবং পরে বুকের দুধের সঙ্গে অন্যান্য তরল অথবা হালকা কঠিন খাবার খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হয় । ৪-৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন তার জন্মের ওজনের দ্বিগুণ হওয়া উচিত ।





২) সদ্য হাঁটতে শেখা শিশু- ১২ থেকে ৩৬ মাস
এটি আপনার শিশুর জীবনের একটি সক্রিয় ভাগ, এবং এই বয়সে, মানসিক ও সামাজিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটে । আপনার শিশু জগৎতাকে খুঁজে বুঝতে শুরু করবে এবং ডে-কেয়ারে অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে অথবা আশেপাশে ঘুরতে নিয়ে গেলে তারা উন্মুক্ত হবে । প্রথম বছরে যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা হয়েছে, তা এই সময় আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে । বিভিন্ন কারণ, মানসিক অবস্থা, বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছেদের উদ্বেগ, নতুন পরিবেশ এবং খাবারের অভ্যাস পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ওজনের হ্রাস-বৃদ্ধির স্কেল কাজ করে ।





৩) প্রাক-স্কুল পর্যায়ের শিশু- ৪ থেকে ৬ বছর
এই বয়সে শিশুর বিকাশ তার সারাজীবন স্থায়ী হয় । প্রি-স্কুলার শিশুদের ব্যস্ত সময়সূচী এবং সক্রিয় জীবনধারায় অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং নানারকম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের প্রয়োজন হয় । প্রতি বছর গড়ে তাদের প্রায় ২ কিলোগ্রাম করে ওজন বৃদ্ধি হয় ।





৪) শিশু – ৭ থেকে ১২ বছর
যেহেতু তারা প্রাক-স্কুলার পর্যায় থেকে প্রাক-কিশোর বয়সের দিকে যেতে শুরু করে, শিশুদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধি প্রতিবছর ৩ কিলোগ্রামে স্থিতিশীল হয় । এই বয়সে, তারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো একই খাবার খায় ।

Source: https://banglaparenting.firstcry.com/