Author Topic: মধু কেনো খাবেন?  (Read 2492 times)

0 Members and 1 Guest are viewing this topic.

abeerhr

  • Guest
মধু কেনো খাবেন?
« on: September 19, 2019, 11:57:35 AM »
আল্লাহ তা’আলা আল কোরআনের মধ্যে অন্যান্য সমস্ত জীব- জন্তুর মধ্য হতে ছোট্ট প্রাণী মৌমাছিকে স্বতন্ত্র ভঙ্গিতে সম্বোধন করেছেন। কারণ মৌমাছি সমস্ত কীটপতঙ্গের মধ্যে বিশেষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। মৌমাছি একমাত্র প্রাণী যে মানুষের জন্য খাদ্য তৈরি করে। আল্লাহ তা’আলা সুরা নাহলে বর্ণনা করেছেন- “তার পেট হতে বিভিন্ন রঙের পানীয় বের হয় তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার”।

মৌমাছি নিজের বাসাটিকে সমান ছয় কোণ বিশিষ্ট করে তৈরি করে। গোলাকার প্রাণীর জন্য সম ছয় কোণ বিশিষ্ট কোঠার আয়তন গোলাকার কোঠার চেয়ে কম। এটা জ্যামিতিক শাস্ত্র প্রমাণ করেছে। কাজেই মৌমাছি নিজের বাসা এমনভাবে তৈরি করে যাতে একটু জায়গাও নষ্ট না হয়। মৌমাছি এমনই একটি বুদ্ধিমান প্রাণী।

মধু কেনো খাবেন?

ঠাণ্ডা জনিত কফ বা কাশি রোগে এক কাপ গরম পানির সাথে ১/২ চামচ মধু মিশ্রিত করে নিয়মিত খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আমেরিকায় শিশুদের নিয়মিত মধু খেতে দেয়া হয়। মিশিগানে প্রচুর মধু পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ বাদ দিয়ে এক অর্থবছরে আমেরিকা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মধু বহির্বিশ্ব হতে আমদানি করে।
আরবরা প্রচুর মধু খায়। আরবিতে মধুকে ‘আসল’ বলে। পাকিস্তান ও ইন্ডিয়াতে মানুষ বিভিন্ন চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করে। উর্দুতে মধুকে ‘সহদ’ বলে। বার্মিজরা মধুকে ‘পিয়ায়ি’ বলে। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে মধু উপহার দেয়াকে তারা বেশি পছন্দ করে। রাশিয়ানরা মধুকে
‘মিউদ’ বলে। তারা মধু খাওয়াকে খুব পছন্দ করে। আফগানরা মধুকে ‘গাভিন’ বলে এবং এর খুব কদর করে। থাইল্যান্ডে প্রচুর মধু পাওয়া যায়। তারা একে ‘নামপুং’ বলে। চাইনিজ মুসলিমরা ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মধু খেয়ে থাকেন। তারা মধুকে ‘ফনমি’ বলে। মধুর সংস্কৃত নামান্তর ‘ক্ষৌদ’। এভাবেই উন্নত বিশ্ব মধ খাওয়ার প্রতি জোর দিয়েছে। রাসূল সঃ ও মধু পছন্দ করতেন খুব। তিনি নিজেও ঘোষণা করেছে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ হচ্ছে মধু।

Source: Khaas Food
[/i]