বাত বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (RA) হলো একটি অটোইমিউন ব্যাধি। মানে এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম বা ইমিউন সিস্টেম আপনার জয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করে। এর ফলে জয়েন্টে বা গিরায় গিরায় ব্যথা, লালভাব, ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহ হয়।
আমাদের অনেকেরই এই বাতের ব্যথা রয়েছে। তবে রোগটি সাধারণ হলেও পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই আমাদের মধ্যে। চলুন জেনে আসা যাক বাত নিয়ে ১০টি বিষয়–
১। প্রাথমিক পর্যায়ে বাত একটি অদৃশ্য রোগ। তাই রোগীর নিজেরই বাতের সমস্যার শারীরিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
২। এক এক বয়সি রোগীদের মধ্যে বাতের প্রভাব ভিন্ন হয়।
৩। বাতের ব্যথা উপশমে ব্যায়াম একটি কার্যকরী ওষুধ।
৪। বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫। বাতের জন্য মানসিক চাপ কমানো জরুরি।
৬। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে বাত নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে সম্ভব।
৭। বাত ব্যথার সাথে অবসাদ (ডিপ্রেশন) বা মানসিক ক্লান্তি আসাটা খুবই সাধারণ।
৮। বাতের রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অন্যদের থেকে বেশি।
৯। বাতের রোগীদের ধীরে ধীরে ফিব্রোমায়ালজিয়া কিংবা লুপাসের মতো রোগও হতে পারে।
১০। বাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব, যদি প্রারম্ভিক পর্যায়ে তা শনাক্ত এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়।
বাতের ব্যথা কমে বাড়ে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা বড়ো অংশ কেড়ে নেয়। তবে লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রএন করতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলাটা খুব জরুরি।
আপনার জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া, দৃশ্যমান লালভাব বা বিবর্ণতা, আপনার নিয়মিত কাজের পরে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদ, আর সর্বোপরি আপনার বাতের ব্যথা যদি আপনার দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটায় তবে ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন।
জীবনধারা পরিবর্তন এবং ওষুধ নেওয়ার পরও যদি আপনার লক্ষণগুলোতে উন্নতি না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি।
Author: Sushanta Kumar Ghosh, Physiotherapy Specialist, DIU Medical Center