Daffodil Hospital & Research Center
Health Care => Gastroenterology & Hepatology => Topic started by: Rasel Ali on July 18, 2022, 04:50:26 PM
-
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847399,imgsize-97590,width-700,height-525,resizemode-75/ei-samay.jpg)
Fatty Liver Diet and Lifestyle Change: এখন বাড়ি বাড়িতে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver)। প্রচুর মানুষ নিয়মিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর কোনও লক্ষণ থাকে না। কিন্তু একটু অসচেতন হলেই সিরোসিস (Cirrhosis) হতে পারে। তাই এই অসুখ থেকে বাঁচার জন্য ওষুধ নয় প্রয়োজন হল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন।
ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর রোগ। বহু মানুষ এই সমস্যায় এখন আক্রান্ত। তবে এরপরও জনমানসে এই অসুখ নিয়ে তেমন কোনও সচেতনতা নেই। তাই দ্রুত এই জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লিভারে ফ্যাট জমাটা কোনও কাজের কথা নয়। আমাদের লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করে। এক্ষেত্রে যকৃৎ (Liver) তৈরি করে বাইল। এই বাইল খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এই অঙ্গ অনেক কাজে লিপ্ত। আর সেই কাজের কথা বলতে শুরু করলে শেষ করা যাবে না। এবার এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গে ফ্যাট জমতে পারে। এই সমস্যার নাম হল ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver)।
ফ্যাটি লিভার রোগটির কারণে মানুষের যকৃৎ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এমনকী সেখানে প্রদাহ হতে পারে। এই কারণে হতে পারে লিভার সিরোসিস (Cirrhosis) থেকে শুরু করে লিভার ক্যানসার (Cancer) পর্যন্ত। তাই প্রতিটি মানুষকে এই নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এই প্রসঙ্গে আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, এক্ষেত্রে অনেক কারণ থাকতে পারে এর পিছনে। তবে বেশিরভাগ সময়ই ফ্যাটি লিভারের কোনও লক্ষণ (Fatty Liver Symptoms) থাকে না। সমস্যা এগিয়ে গিয়ে থাকলে পেটের ডানদিকে ব্যথা, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা হয়।
আসুন এখন জানা যাক কোন কোন অভ্যাসে বদল এই সমস্যা কমাতে পারে (Fatty Liver Diet and Lifestyle Change)-
ব্যায়াম
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847461,width-680,resizemode-3/ei-samay.jpg)
ডা: পালের কথায়, লিভারের ফ্যাট কমাতে চাইলে আপনাকে দিনে অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে এরোবিক এক্সারসাইজ (Aerobic Exercise) করা উচিত। যেমন জগিং, সাঁতার, ট্রেডমিল ইত্যাদি। এই ব্যায়ামগুলিতে গোটা শরীরের ব্যায়াম হয়। তাই এই ব্যায়ামটি করতে বলা হয়। যে কোনও মানুষ এই ব্যায়াম করতে পারেন।
রিফাইন কার্ব
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847438,width-680,resizemode-3/ei-samay.jpg)
এক্ষেত্রে চিনি, ময়দা হল রিফাইন কার্ব। এরমধ্যে ভালো পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। এবার বহু ক্ষেত্রে সেই ক্যালোরি শরীরে গিয়ে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। তাই প্রতিটি মানুষকে রিফাইন কার্ব খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই সমস্যার করা যেতে পারে সমাধান। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং তেলের খাবার
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847432,width-680,resizemode-3/ei-samay.jpg)
ঘি, মাখন হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট খাওয়া কিন্তু চলবে না। এছাড়া আপনাকে এড়িয়ে যেতে হবে যে কোনও ধরনের তেলের খাবার। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। কারণ এই খাবারগুলি লিভারে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেলে। এই খাবার ছাড়তে পারলেই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
মদ্যপান নয়
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847428,width-680,resizemode-3/ei-samay.jpg)
ডা: পালের কথায়, মদ্যপান (Alcohol) করলে এক বিশেষ ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়। এই সমস্যার নাম অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীরে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে মদ্যপান এড়িয়ে যেতে হবে। তবেই রোগটি থেকে মিলবে মুক্তি।
রেডমিট
(https://static.langimg.com/thumb/msid-92847412,width-680,resizemode-3/ei-samay.jpg)
আমাদের এখানে রেডমিট (Red Meat) বলতে বেশিরভাগ মানুষ পাঁঠার মাংসের কথা বোঝেন। এবার এই পাঁঠার মাংস বেশি খাওয়া কিন্তু একবারেই উচিত নয়। এক্ষেত্রে এই মাংস বা অন্যান্য় রেডমিটে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে বেশি। এবার সেই কারণে রেডমিট খাওয়া কিন্তু একবারেই উচিত হবে। তাই এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন। এভাবেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
Source:eisamay