ফিটকিরির এত উপকারিতা!
(https://www.odhikar.news/assets/news_photos/2018/11/03/image-26159-1541223423.jpg)
পানি পরিশ্রুত করার জন্য ব্যবহার করা হয় ফিটকিরি। তবে কেবল এই কাজ নয়, ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও রয়েছে এতে। নিয়মিত ফিটকিরি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন ব্রণমুক্ত লাবণ্যময় চেহারা। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ব্রণ সমস্যার সমাধান-
মুখে ব্রণের সমস্যায় কত কী না করেছেন? কিন্তু মুক্তি আর মিলছেই না। এবার থেকে নিয়মিত ব্রণের ওপর খানিকটা ভেজা ফিটকিরি ঘষে নিন। ব্রণের কারণে হওয়া ব্যথা তো কমবেই, ব্রণও পালাবে চটজলদি।
দূর হবে ট্যান-
মুখের ট্যান বা রোদে পোড়া ভাব দূর করতে প্রতি মাসে পার্লারে যাচ্ছেন? বাড়িতে ফিটকিরি থাকতে বাড়তি খরচ কেন করছেন? এক চামচ মুলতানি মাটি, দু’চামচ ডিমের সাদা অংশ আর এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন এই প্যাক মুখে লাগালে ট্যান আর থাকবে না।
আর রবে না মুখের দুর্গন্ধ-
কথা বলতে গেলে যদি মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, তবে কতই না বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মূলত, দাঁতের ফাঁকে ব্যাকটেরিয়া জমার কারণেই এই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ফিটকিরি হতে পারে আপনার উপকারী বন্ধু। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ আর ফিটকিরি মেশান। এবার এই পানি দিয়ে প্রতিদিন সকালে আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুলকুচি করুন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
মুখের ঘা সারাতে-
ভিটামিন সি এর অভাবে মুখের ভেতর ঘা হয়। বিশেষ করে শীতকালে এ ঘায়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ঘা হওয়া স্থানে ফিটকিরি লাগান। একটু জ্বালা করলেও এতে ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। তবে ফিটকিরি লাগিয়ে মুখের লালা গিলে ফেলবেন না যেন।
বলিরেখা কুপোকাত-
বয়স বাড়ছে। ত্বকের বলিরেখাগুলো তেমন কিছুরই জানান দিচ্ছে। মুখে ভেজা ফিটকিরি ঘষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর লাগিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার। বলিরেখা আর থাকবে না।
দেখলেন তো কত উপকারী এই ফিটকারি। তবে আর দেরি কেন? ফিটকিরি হাতে নেমে পড়ুন রূপচর্চায়।