Daffodil Hospital & Research Center

Health Care => Weight Loss => Topic started by: Mr. Rasel on July 06, 2019, 01:36:59 PM

Title: ওজন কমানোর টিপস | ৪টি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা দূর করুন
Post by: Mr. Rasel on July 06, 2019, 01:36:59 PM
সুন্দর আকর্ষণীয় শারীরিক গঠনের জন্য সবাই ওজন কমাতে চায়। আর তাই যে যা বলে তাই শুনেই ওজন কমানোর মরিয়া হয়ে ওঠেন অনেকেই। আর তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানান ভুল পদ্ধতি এবং ভ্রান্ত ধারণাকে সম্বল করেই ওজন কমানোর কসরত চলে। ফলে আশানুরূপ ফলাফলও পাওয়া যায় না। ওজন কমানোর ব্যাপারে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা অনেকেই পোষণ করেন। চলুন জেনে নেই ভ্রান্ত ধারণাগুলো সম্পর্কে।
ওজন কমানোর টিপস ও প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহ
১) না খেলে ওজন কমে
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য উঠে পরে লেগে যান। আর তাই খুবই অস্বাস্থ্যকর ডায়েট করেন অনেকেই। সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে কিংবা রাতের খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন কেউ কেউ। কিন্তু ওজন কমাতে হলে প্রতি দুই ঘন্টা পর খেতে হবে। এক্ষেত্রে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। একেবারে খাবার বাদ দিয়ে দিলে ওজন কমবে না বরং আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এবং শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও একবেলার খাবার বাদ দিলে পরের বেলা প্রয়োজনের থেকে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২) কার্বোহাইড্রেট বাদ না দিলে ওজন কমে না
আমাদের শরীরকে কার্যক্ষম রাখার জন্য এবং শক্তি যোগানোর জন্য অন্যতম একটি উপাদান হলো কার্বহাইড্রেট। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বাদ দিয়ে ফেলেন। ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে এবং কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে আলস্য নিয়ে আসে। তাই কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি বাদ না দিয়ে ওটমিল, লাল চাল, লাল আটা খাওয়ার অভ্যাস করুন পরিমিত পরিমাণে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এগুলো ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
৩) স্লিমিং পিল বা স্লিমিং টি ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য স্লিমিং পিল বা স্লিমিং টি কখনোই খাওয়া উচিত না। কারণ এগুলো আপনার শরীরের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে কিডনি কিংবা লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
৪) ডায়েট ফুড ওজন কমায়
যারা ওজন কমাতে চান তাদের অনেকেরই ডায়েট কোল্ড ড্রিংক, সুগার ফ্রি খাবার কিংবা লো ফ্যাট খাবারের প্রতি আকর্ষণ আছে। যেসব খাবার আর্টিফিসিয়াল সুগার ব্যবহার করা হয় সেগুলো পরিহার করাই ভালো। কারণ আর্টিফিসিয়াল সুগারে যেসব ক্ষতিকর উপকরণ থাকে সেগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও নিয়মিত এইধরণের খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।