Daffodil Hospital & Research Center

General Category => General Discussion => Topic started by: Dr. Sushanta Kumar Ghose on July 16, 2023, 09:48:59 AM

Title: হঠাৎআঘাত পেলে কি করবেন?
Post by: Dr. Sushanta Kumar Ghose on July 16, 2023, 09:48:59 AM
হঠাৎ আঘাত পাওয়া মানেই হচ্ছে শরীরের বাহিরের কোন একটি জায়গায় অতিরিক্ত চাপ পড়া । এই ধরনের আঘাতে যে সমস্যা হয় তাকে বলে সফট টিস্যু ইনজুরি। সফট টিস্যু ইনজৃরি হলে কি হয়-

- আঘাতপ্রাপ্ত এলাকায়  ফুলে যায়, প্রচণ্ড ব্যথা হয়, উক্ত অংশটি লাল হয়ে যায় এবং জায়গাটা গরম থাকে।

- কোন দুর্ঘটনায় আঘাত পাওয়া, খেলাধুলার সময় আঘাত পাওয়ায়, মাংস পেশিতে হঠাৎ টান লাগা, কিংবা পা পিছলে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে এই সফট টিস্যু ইনজুরি হয় তবে আঘাতের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে।

সফট টিস্যু ইনজুরি হলে কি করবেন :

প্রথম ধাপ-
এ পর্যায়ে আমরা রোগীকে ৬-৭দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে পারি। তারপর প্রয়োগ করা হয় Price পদ্ধতি।
এখানে P=Protection বা বাধা দেওয়া,
         R=Rest মানে বিশ্রাম,
         I=Ice মানে বরফের সেক,
         C=Compression মানে চেপে রাখা,
         E=Elevation মানে উঁচু করে রাখা।

এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন রোগী পুনরায় আঘাত না পায় এবং অবশ্যই পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। সকাল- বিকাল বরফ ব্যবহার করতে হবে ১৫-২০ মিনিট করে। ভিজে গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে দিন। যদি বেশি ঠান্ডা লাগে ৩ মিনিট পর উঠিয়ে ফেলুন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার একটা টানা ১২-১৪ মিনিট পেচিয়ে রাখুন।

এবার ভালো লাগবে। আক্রান্ত অংশ ফুলে গেলে ক্রেব ব্যান্ডেজ দিয়ে সুন্দরভাবে পেচিয়ে রাখুন। যাতে আর ফুলতে না পারে। আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখুন যাতে হৃদপিণ্ড বরাবর থাকে। এ অবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।


দ্বিতীয় ধাপ
এই ধাপকে রিপেয়ারিং স্টেজ বলে। এটির সময় ৭-২১ দিন। 

এ  সময় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা-

- ডিপ ফ্রিকশন টেকনিক

- স্টেচিং

- বিভিন্ন এক্সারসাইজ থেরাপি এবং মাংসপেশী কন্ট্রাকশন ও ব্যথা কমানোর জন্য ইলেকট্রো ধেরাপি দেয়া যেতে পারে।

- এই ধাপটি যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে না চলেন তাহলে আক্রান্ত অংশে মাংসপেশীতে ক্ষার বা অ্যাডহিশন বা দাগ পড়ে, যা রোগীকে দীঘ সময় ব্যথায় ভোগায়।


তৃতীয় ধাপ
এই ধাপকে রিমডেলিং ধাপ বলে। এই ধাপটি ২১ দিন পর শুরু হয়। এই পর্যায়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগীকে পুরোপুরি সাপোর্ট দিয়ে পূর্বের অবস্থায় এবং কাজে ফিরিয়ে আনা।

এই অবস্থায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর আক্রান্ত অংশকে স্টেচিংসহ স্টেন্থদেনীং করেন এবং জোরালো ভাবে ডিপফ্লিকশন টেকনকি ব্যবহার করেন। এই সময় হিট থেরাপীও কিছু কাজে আসতে পারে।