Daffodil Hospital & Research Center

General Category => General Discussion => Topic started by: Dr. Sushanta Kumar Ghose on February 23, 2023, 08:37:11 AM

Title: মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়
Post by: Dr. Sushanta Kumar Ghose on February 23, 2023, 08:37:11 AM
মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো জানা খুব প্রয়োজন। এর কারন প্রত্যেকটি শিশুর জন্য মায়ের দুধের চেয়ে ভাল কোন খাবার হতে পারে না। মায়ের দুধে প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক আছে ।প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক শিশুর শরীরে ইনফেকশন রোধ করতে সাহায্য করে।তবে যে সকল শিশুরা মায়ের দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত তাদের শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে।বর্তমানে অনেক শিশুরা মার কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণের দুধ পায় না।প্রথম দিকে মায়ের দুধ না পেলে শিশুর বিকাশ কম ঘটে। তবে অনেকেই মায়ের দুধ বাড়ানোর উপায় জানে না। প্রাকৃতিক ভাবে কিছু কাজ জানা থাকলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা যায়।

মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়


(https://th.bing.com/th/id/OIP.VeoFoU4x9bR9dZzuiIdvHgHaE8?pid=ImgDet&rs=1)

এখানে মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অনেকই মায়ের দুধ বৃদ্ধির জন্য ঔষধ সেবন করে থাকেন।কিন্তু এতে পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক। তাতে অন্য সাইডে সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শুধু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা যায়। মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় আলোচনা করা হলো-


অধিক পরিমাণে পানি পান
অধিক পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখথে গেলে পানি পানের বিকল্প নেয়। তাই প্রয়োজনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সম্ভব হলে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করুন। প্রাকৃতিকভাবে এটি বুকের দুধ বৃদ্ধি করবে।

ঘন ঘন বাচ্চাকে দুধ দিন
দুধ বেশি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন আপনার আদরের বাচ্চাকে দিনে তিন ঘন্টা এবং রাতে চার ঘন্টা পর পর দুধ খেতে দিন। এতে দুধ বাড়বে কমবে না।তাই আপনে যত বেশি দুধ খাওয়াবেন তত বেশি দুধ উৎপাদন হবে। এতে বাচ্চা দ্রুত বৃদ্ধি হবে ও সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

গরম দুধ এবং জিরা পান করুন
দুধ বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে গরম দুধ এবং জিরা পান করা এটি একটি। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। এটি বুকের দুধ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে থাকে।

(https://i0.wp.com/www.sastobd.com/wp-content/uploads/2019/12/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%9F-3.jpg?w=640&ssl=1)

মায়ের পাশ পরিবর্তন
একটি স্তনের দুধ সম্পূর্ণ খাওয়া হয়ে গেলে অন্য আরেকটি স্তনে দুধ খেতে দেবেন। এক্ষেত্রে ঘন ঘন স্তন পরিবর্তন করবেন না। দুধ খাওয়ানোর সময় আপনার বাচ্চাকে কিছুটা উপরের দিকে তুলে ধরে শরীর থেকে কিছুটা দূরে রেখে দুধ খাওয়ান। এভাবে দুধ খায়ালে বাচ্চা বেশি দুধ পাবে।

দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট করবেন
দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট না করা ভালো। যখন দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে তখনই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। দুধ খাওয়ানোর জন্য উভয় স্তন ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন । ফলে দুই স্তনে দুধ বৃদ্ধি পাবে।

খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন
আমরা অনেকেই জানি খাদ্য অভ্যাসের উপর মায়ের দুধ বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক সবজি, দুধ, ডিম,রসুন, ফলের রস,আঙ্গুরের রস,মুরগির মাংস প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।আর এই খাবারগুলো বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

গরম দুধ এবং দারুচিনি
এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার চেস্টা করুন। তবে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি প্রতিদিন পান করুন। এটি আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

রসুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ কোয়া রসুন দুধ বৃদ্ধির জন্য ভালো কাজ করে। রসুন আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কাঁচা রসুন খেতে না সমস্যা হলে রান্নায় রসুন ব্যবহার করুন। তাছাড়া এক কাপ পানিতে ৩ কোয়া রসুন দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন।পানি কমে অর্ধেক হয়ে আসলে এতে এক কাপ দুধ দিয়ে জাল দিন। দুধ রসুন ফুটে উঠলে চুলা নিভিয়ে দিন। তবে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য মধু মিশাতে পারেন। এটি প্রতিদিন সকালে পান করুন। আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।

(https://i0.wp.com/www.sastobd.com/wp-content/uploads/2019/10/%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-1.jpg?w=640&ssl=1)


লেখক: সুশান্ত কুমার ঘোষ, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, ডিআইইউ মেডিকেল সেন্টার